الصفحة الرئيسية

المقدمة

الإسلام يحث علي صلة الرحم والإتحاد وبين الوعيد علي تركهما يقول الله عز وجل
۞وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا [آل عمران: 103]

۞ وَءَاتِ ذَا ٱلۡقُرۡبَىٰ حَقَّهُۥ [الاسراء: ٢٦]

“আর নিকট আত্মীয়ের অধিকার আদায় করো।” [সূরা বনী ইসরাইল: ২৬]

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন-

وقال أيضا : وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ۞ [النساء: ٣٦]

“আর আল্লাহর বন্দেগী করো এবং তার সাথে কাউকে শরীক করো না, এ ছাড়া মাতা-পিতার সাথেও উত্তম আচরণ করো, আর উত্তম আচরণ করো নিকটাত্মীয়ের সাথে” [সূরা আন-নিসা: ৩৬]

الوعيد علي قطع الرحم:

আল্লাহ তাআলার বাণী-

قال نعالي: فَهَلۡ عَسَيۡتُمۡ إِن تَوَلَّيۡتُمۡ أَن تُفۡسِدُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَتُقَطِّعُوٓاْ أَرۡحَامَكُمۡ ۞ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُ فَأَصَمَّهُمۡ وَأَعۡمَىٰٓ أَبۡصَٰرَهُمۡ [محمد: ٢٢، ٢٣]

وعن أَبي شُريْحٍ الخُزاعيِّ : أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ: مَنْ كَانَ يُؤمِنُ بِاللَّهِ والْيَوْمِ الآخِرِ فَلْيُحْسِنْ إلى جارِهِ، ومَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ واليومِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، ومَنْ كانَ يُؤمنُ باللَّهِ واليومِ الآخرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَسْكُتْ رواه مسلم وفي رواية قال لَيْسَ الوَاصِلُ بِالْمُكَافِئِ، وَلَكِنِ الوَاصِلُ الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا [সূরা মুহাম্মাদ: ২২-২৩]

তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেনো আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষা করে চলে” [বুখারী ৬১৩৮]


الإتحاد

اتحاد الأمة والإخاء بينهم واجب أصلي للإسلام - الإسلام دين التوحيد والإتحاد ولا مساغ فيه للشرك بالله والإفتراق وأصل الإتحاد التوحيد وهو اطاعة الله وتقواه

তাকে প্রকৃত আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষাকারী বলা যতেে পারে না, যে শুধু ততটুকুই করে যতটুকু তার আত্মীয়দের সাথে করে থাকে বরং প্রকৃত আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষাকারী তাকেই বলা যেতে পারে, যে ব্যক্তি তার আত্মীয়দের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করলেও সে তা রক্ষা করে চলে [বুখারী: ৫৯৯১]

ঐক্যবদ্ধতা:
মুসলিম উম্মাহ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং নিজেদের একতা ও সংহতি রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক ফরজ। ইসলাম তাওহীদের দ্বীন এবং ঐক্যের র্ধম। এখানে শিরকের সুযোগ নেই এবং অনৈক্য ও বিভেদের অবকাশ নেই। ইসলামে ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ তথা এক আল্লাহর ইবাদত এবং এক আল্লাহর ভয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

قال نعالي: إِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُونِ۞ فَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ زُبُرًا كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ فَذَرْهُمْ فِي غَمْرَتِهِمْ حَتَّى حِينٍ

নিশ্চিতভাবে জেনে রেখো! এই তোমাদের উম্মাহ, এক উম্মাহ (তাওহীদের উম্মাহ) এবং আমি তোমাদের রব। সুতরাং আমাকে ভয় কর। এরপর তারা নিজেদের দ্বীনের মাঝে বিভেদ করে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেলো। প্রত্যেক দল (নিজেদের খেয়ালখুশি মতো) যে পথ গ্রহণ করলো, তাতেই মত্ত রইলো। সুতরাং (হে পয়গম্বর) তাদেরকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত মূর্খতায় ডুবে থাকতে দাও। (সূরা মুমিনূন : ৫২-৫৩)

অন্যত্র আল্লাহ তাআলা বলেন-

وقال تعالي أيضا : وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنْتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنْتُمْ عَلَى شَفَا حُفْرَةٍ مِنَ النَّارِ فَأَنْقَذَكُمْ مِنْهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آَيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ۞ [آل عمران:١٠٣]

فثبت بالآيات القرآنية والأحاديث النبوية أن الصلة والإتحاد واجب مهم في الأسلام- فعلي هذا الإهتمام أسس أبناء أبي بكر هذه المؤسسة لإثبات هذا والواجب- وبتوفيق الله أنها مازالت ترتقي وتثير الناس- تقبل الله من أبناء أبي بكر ويثبت أقدامهم علي الدين القويم إلي يوم التناد وتقبل الله المؤسسة للدين- آمين (সুরা আলে ইমরান, ১০৩)

উপরোক্ত কুরআন ও হাদীসের নির্দেশের আলোকে প্রতীয়মান হলো যে, পারিবারিক সর্ম্পক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকা ইসলামের এক অপরিহার্য বিধান, যা পরিত্যাগ করা বা অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। সেই গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখেই আবনায়ে আবূ বকর রহ. দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়ে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠন করেছে এই ফাউন্ডেশন। আল্লাহর ফজলে যার সফলতা গতিশীল হয়ে উঠছে এবং অল্প সময়ে তা অনেক দূর এগিয়েছে। সবার মাঝে এর ব্যাপক সাড়াও পড়েছে। আল্লাহ তাআলা জনাব আলহাজ আবু বকর সিদ্দীক রহ. এর বংশধরদের দ্বীনের উপর অটুট থেকে কেয়ামত পর্যন্ত বাকী রাখুন। আর আস সিদ্দীক ফাউন্ডেশনকে কবুল করুন। আমীন।